উষ্ণতা বা তাপমাত্রা হল বস্তুর তাপীয় অবস্থা। এই অবস্থাই স্থির করে দেয় যে, একটি বস্তুকে অন্য কোন একটি বস্তুর সংস্পর্শে রাখলে, প্রথম বস্তুটি দ্বিতীয় বস্তুকে তাপ দেবে না দ্বিতীয় বস্তু থেকে তাপ গ্রহণ করবে।
তাপ |
উষ্ণতা |
১। তাপ হল শক্তির একটি বিশেষ রূপ। |
১। উষ্ণতা হল তাপ শক্তির প্রকাশ। বস্তুর উষ্ণতা বলতে বস্তুটির তাপীয় অবস্থা বোঝায়। |
২। কোন পদার্থে তাপ প্রয়োগ করলে উষ্ণতা বাড়ে, অর্থাৎ তাপ হল উষ্ণতার কারণ। |
২। উষ্ণতা হল তাপের ফল। |
৩। কোন বস্তুর মধ্যস্থ মোট তাপের পরিমাণ, ঐ বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে তাপ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে না |
৩। যে বস্তুর উষ্ণতা বেশী সেই বস্তু থেকে কম উষ্ণতার বস্তুর মধ্যে তাপ প্রবাহিত হয়। দুটি বস্তুর উষ্ণতা এক হলে তাপ প্রবাহ বন্ধ হয়। অর্থাৎ, বস্তুর উষ্ণতাই তাপ প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে। |
৪) কোন বস্তুর তাপের পরিমাণ মাপা হয় ক্যালোরিমিটার যন্ত্রের সাহায্যে। |
৪) কোন বস্তুর উষ্ণতার পরিমাণ মাপা হয় থার্মোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে। |
৫) S.I. পদ্ধতিতে তাপের একক হল জুল। |
৫) S.I. পদ্ধতিতে উষ্ণতার একক হল কেলভিন। |
যে যন্ত্রের সাহায্যে কোন বস্তু উষ্ণতা মাপা যায়, তাকে থার্মোমিটার বলে।
যে থার্মোমেটারে পারদের আয়তন প্রসারণ দ্বারা উষ্ণতা মাপা হয় তাকে পারদ থার্মোমেটার বলে।
পারদের হিমাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক যথাক্রমে -39oC এবং 357oC। তাই এর সাহায্যে -39oC এর নিচে বা 357oC এর ওপরের তাপমাত্রা দ্বারা মাপা যায় না।
প্রমাণ চাপে যে উষ্ণতায় বিশুদ্ধ বরফ গলে জল হয় অথবা জল জমে বরফ হয়, সেই উষ্ণতাকে থার্মোমিটারের নিম্নস্থিরাঙ্ক বলে।
প্রমাণ চাপে যে উষ্ণতায় বিশুদ্ধ জল ফুটে বাষ্পে অথবা বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে জলে পরিণত হয়, সেই উষ্ণতাকে থার্মোমিটারের উর্ধবস্থিরাঙ্ক বলে।
বস্তুর উষ্ণতা মাপার জন্য সাধারণত দুই রকমের স্কেল ব্যবহার করা হয়।
$${c \over 5} = {F-32 \over 9} = {K-273 \over 5}$$
$${c \over 5} = {F-32 \over 9} = {K-273 \over 5}$$
$${C \over 5} = {F-32 \over 9}$$
এখানে,C=40
$${40 \over 5} = {F-32 \over 9}$$
$${72} = {F-32}$$ $${F = 104}$$
$${F-32 \over 9} = {K-273 \over 5}$$
এখানে, F=68
$${68-32 \over 9} = {K-273 \over 5}$$
$${36 \over 9} = {K-273 \over 5}$$
$${K-273} = {20}$$
$${K} = {293}$$